Digitize Birth Certificate: বর্তমানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সনদপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন, পাসপোর্ট বা আধার তৈরি—সব জায়গায় জন্ম সনদ একটি অপরিহার্য নথি। আগে জন্ম সনদ হাতে লেখা আকারে দেওয়া হতো, কিন্তু এখন সরকার সেই সমস্ত নথিকে ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করার সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে পুরনো হাতে লেখা জন্ম সনদ অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায়।
অবাঞ্চিত বক্তব্য না লিখে খুব সহজ সরল ভাষায় এখানে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি আলোচনা করা হলো। মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।
১. পুরনো জন্ম সনদ সংগ্রহ
প্রথমেই আপনার হাতে লেখা পুরনো জন্ম সনদটি সংগ্রহ করে নিরাপদে রাখুন। সনদে লেখা নাম, জন্মতারিখ, পিতামাতা বা ঠিকানা ঠিক আছে কিনা ভালোভাবে যাচাই করুন।
২. স্থানীয় পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে যোগাযোগ
যেখানে আপনার জন্ম নিবন্ধন হয়েছিল, সেই স্থানীয় পৌরসভা, মিউনিসিপ্যালিটি বা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। জন্ম সনদের (Digitize Birth Certificate) মূল রেকর্ড সেখানেই থাকে। হাতে লেখা সনদ নিয়ে গিয়ে জানান যে আপনি ডিজিটাল জন্ম সনদ চান।
৩. প্রয়োজনীয় নথি জমা
ডিজিটাল জন্ম সনদ (Digitize Birth Certificate) পেতে কিছু নথি জমা দিতে হয়—
পুরনো হাতে লেখা জন্ম সনদ
পিতামাতা/অভিভাবকের পরিচয়পত্র
আবেদনকারীর পরিচয়পত্র (যদি বয়স ১৮ বছরের বেশি হয়)
ঠিকানার প্রমাণপত্র (রেশন কার্ড, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি)
৪. ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের আবেদন
অফিসে গিয়ে ফর্ম পূরণ করুন অথবা অনেক জায়গায় অনলাইনে আবেদন করার সুযোগও রয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্মতারিখ, নাম, জন্মস্থান ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে এবং পুরনো সনদ আপলোড করতে হবে।
Digitize Birth Certificate: পুরনো হাতে লেখা জন্ম সার্টিফিকেট ডিজিটাল করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি | ধাপে ধাপে গাইড
৫. তথ্য যাচাই
সরকারি রেকর্ড ও হাতে লেখা সনদ মিলিয়ে দেখা হয়। যদি কোনো ভুল থাকে তবে সংশোধনের আবেদন করা যায়।
৬. ফি প্রদান
ডিজিটাল জন্ম সনদ পেতে একটি নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। এটি রাজ্যভেদে কিছুটা আলাদা হতে পারে। ফি অনলাইনে বা সরাসরি অফিসে জমা দেওয়া যায়।
৭. ডিজিটাল জন্ম সনদ ইস্যু
সব প্রক্রিয়া শেষ হলে একটি ডিজিটাল জন্ম সনদ (Digitize Birth Certificate) ইস্যু হয়। এটি একটি ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ পাওয়া যায়। আপনি অনলাইনে এটি ডাউনলোড করতে পারবেন এবং চাইলে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
৮. সুবিধা
ডিজিটাল জন্ম সনদ কাগজের মতো হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। প্রয়োজনে বারবার ডাউনলোড করা যায় এবং সরকারি যেকোনো পরিষেবায় এটি বৈধ।

দ্রুত মনে রাখার জন্য চেকলিস্ট
1. পুরনো জন্ম সনদ সংগ্রহ করুন
2. স্থানীয় পৌরসভা/পঞ্চায়েত অফিসে যোগাযোগ করুন
3. প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করুন
4. অফিসে বা অনলাইনে আবেদন করুন
5. তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন
6. নির্ধারিত ফি জমা দিন
7. অনলাইনে ডিজিটাল জন্ম সনদ সংগ্রহ করুন (Digitize Birth Certificate)
8. নিরাপদে সংরক্ষণ করুন
উপসংহার
পুরনো হাতে লেখা জন্ম সনদকে ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করা আজ আর কোনো জটিল কাজ নয়। কেবল কিছু নথি ও তথ্য জমা দিলেই খুব সহজে ডিজিটাল জন্ম সনদ পাওয়া যায়। তাই যাদের এখনও হাতে লেখা সনদ আছে, তারা দেরি না করে দ্রুত এটি ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে নিন। ভবিষ্যতের সব সরকারি কাজেই এটি আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে।
আরো পড়ুন–প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্প মাসে ১২,০০০ টাকা।
আরো পড়ুন– নতুন GST স্ল্যাবে কোন কোন জিনিসের দাম বাড়বে? আর কোন কোন জিনিসের দাম কমবে?
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান নিচে চ্যানেলগুলির লিংক দেওয়া হলো।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান নিচে ক্লিক করে👇
টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান নিচে ক্লিক করে 👇